দুর্নীতি ও মাদকবিরোধী অভিযান আতঙ্ক ভর করেছে প্রশাসনেও
শেরপুর ডেস্ক: দুর্নীতি ও মাদকবিরোধী চলমান অভিযানের ঢেউ প্রশাসনেও লেগেছে। ধরা পড়ার আতঙ্কে আছেন প্রবলভাবে দুর্নীতিগ্রস্তকর্মকর্তারা। বিশেষ করে যেসব প্রভাবশালী কর্মকর্তা এতদিন ধরাকে সরাজ্ঞান করে দোর্দন্ড প্রতাপে মতার অপব্যবহারের ছড়ি ঘুরিয়েছেন, নিজেকে সরকারি দলপন্থী কর্মকর্তা জাহির করে দু’হাতে হাতিয়ে নিয়েছেন ঘুষ-কমিশনের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, হাত নোংরা করেছেন পর্দার আড়ালে।
দশ বছরের ব্যবধানে যাদের জীবনযাপনের চিত্র অস্বাভাবিক মাত্রায় পাল্টে গেছে। দেশের অভ্যন্তরে বিলাসী জীবনের স্বাদ ভোগ করা ছাড়াও নানাভাবে বিদেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়ে গেছেন, তাদের কপালে দুশ্চিন্তার বলিরেখা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
ইতিমধ্যে তারাও পেয়ে গেছেন মহাবিপদ সংকেত। সাধারণ জনগণের কাছে দারুণভাবে প্রশংসিত চলমান হাই ভোল্টেজের এ অভিযান শুধু অসৎ রাজনীতিবিদদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এর শক্ত হাত শিগগির প্রশাসনকেও স্পর্শ করবে। প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পেলে কেউ ছাড় পাবে না।
দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় এমন আলোচনায় ছিল সরগরম। অধিকাংশ কর্মকর্তার দফতরে চলমান এ অভিযানের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে দিনভর। তবে এ বিষয়ে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই উচ্ছ্সিত। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ ধরনের সাহসী পদপে নেয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিযান সংশ্লিষ্টদের, যারা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশপ্রেমের কঠিন পরীায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
তারা মনে করেন, নানা কারণে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কোনো স্থায়ী রং নেই। সুবিধামতো তারা রংবদল করে। মূলত এদের কারণে রাজনৈতিক দল ও সরকারের বদনাম হয়।