দুর্নীতিবাজরা টাকা নিয়ে বিপাকে
শেরপুর ডেস্ক: অবৈধ টাকা রাখার জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজরা । হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় এই দুর্নীতিবাজ নেতারা এখন বিপাকে পড়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, এটা তাদের ধারণাতেই ছিল না। তাই অনেকে বস্তায় ভরে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে, আত্মীয়স্বজনের কাছে। আর কেউ কেউ নিজেকে রা করতে টাকা নষ্ট করে ফেলে দিচ্ছেন। আবার টাকা রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের চার শতাধিক নেতাকর্মী। এছাড়া এই মুহূর্তে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ছয় শতাধিক নেতাকর্মী। আবার অনেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
রাজনীতির নামে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তির প্রয়োগ সহ যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় চলছে শুদ্ধি অভিযান। এ অভিযানের ফলে দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম করে দলের ইমেজ ুন্নকারী নেতাকর্মীরা আছেন ‘দৌড়ের ওপর’। অভিযান থেকে বাদ পড়বেন না আমলারাও। দুর্নীতিবাজ আমলাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দুই বছর আগে থেকেই বিতর্কিতদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। এদিকে ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা দুই ভাই, তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। ক্যাসিনো থেকে আয়ের টাকা এনামুল বাসায় সিন্দুক ভরে রাখতেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, যুবলীগের তিন নেতার বাড়িতে রয়েছে টাকা গোনার মেশিন। প্রতিদিন অনেক টাকা একসঙ্গে অল্পসময়ে গুনতে গুনতে কান্ত ও বিরক্ত হওয়ারই কথা! এরপর আছে জাল নোটের ভয়। তাই যুবলীগের ঐ তিন নেতা ক্রয় করেন মানি কাউন্টিং অ্যান্ড নোট ডিটেক্টিং মেশিন, যা তাদের সময় ও পরিশ্রম বাঁচিয়ে দেয়। অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা, পদ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য সহ নানা অপকর্মের মোটা অঙ্কের টাকা যেত ঐ তিন নেতার কাছে। সাত বছর আগেই তারা কিনে নেন টাকা গোনার মেশিন। অটোম্যাটিক মানি কাউন্টিং অ্যান্ড ফেইক নোট ডিটেক্টিং মেশিন দিয়ে এক বান্ডিল নতুন অথবা পুরোনো টাকা (২ টাকার নোট থেকে ১০০০ টাকা নোট পর্যন্ত) মাত্র ৬ সেকেন্ডে গণনা করা যায়।