বিদেশের খবর

১২০ বছরের পুরনো টানা রিকশা

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: ১২০ বছর ধরে ভারতের কলকাতা শহরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে হাতে টানা রিকশা। অনেকে বলছেন প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতার অনেক কিছুই বদলায়নি। ট্রাম, হলুদ ট্যাক্সি এবং হাতে টানা রিকশা। আজও কলকাতার অলি-গলি কিংবা রাজপথে চোখে পড়ছে। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি টানা রিকশায় একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কানে বেজে চলেছে ঠুংঠুং আওয়াজ। শহরে আগত পর্যটকদের প্রথম পছন্দ হাতে টানা এ রিকশা। শহরের ট্রাফিক পুলিশ সুব্রত কুমার বলেন, টানা রিকশা কলকাতার ১২০ বছরের ঐতিহ্য। অনেকে আশপাশে চলাচল করার জন্য এ টানা রিকশা ব্যবহার করেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হাতে টানা রিকশা প্রথম শুরু হয় জাপানে। ষোড়শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাপানের বিভিন্ন শহরে টানা রিকশার উদ্ভব। ১৮৮০ সালে প্রথম জাপান থেকে রিকশা আনা হয় ভারতে। আর ১৯০০ সাল নাগাদ কলকাতায় এই টানা রিকশা চালানো শুরু হয়। উনিশ শতকীয় এই ঐতিহ্যবাহী রিকশা এখনো সমানতালে কলকাতা শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শহরের হাওড়া, আমতা, বোলপুর, বর্ধমান, মুকুন্দপুর, খিদিরপুর ও নিউটাউন এলাকায় বেশি চলাচল করে। এই রিকশার চাকা কাঠের তৈরি। আকারে বড় এবং মোটা। বসার জায়গা বানানো হয় লোহা দিয়ে। দুই থেকে তিনজন বসতে পারেন এ বাহনে। ভারতের চলচ্চিত্র পরিচালক বিমল রায়ের ‘দো বিঘা জমিন’ সিনেমাটি নিশ্চয় অনেকের মনে আছে। যেখানে এক গ্রামীণ কৃষক কাজের সন্ধানে শহরে আসেন। পরে জীবিকা হিসেবে বেছে নেন টানা রিকশা। ছবিটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় হাতে টানা রিকশা নিয়ে তার নিত্যদিনকার জীবন সংগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গ দর্শনের ছবিমহল বিভাগে এবার সেই টানা রিকশার গল্প। পরে এতে যোগ দেন এই শহরের আমতা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা অরবিন্দ পাল। মির্জা গালিব স্ট্রিটের সামনে কথা হয় শ্যামলনাথ নামের এক রিকশাচালকের সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৩০ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে সংসার চলছে। এটা আমার বাপ-দাদার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। তার মতে, কলকাতা শহরে এখনো ১০ হাজারের মতো হাতে টানা রিকশা আছে। এ পেশায় এখনো ১৫ হাজারের মতো লোক আছে। সরকার থেকে কোনো ধরনের ট্যাক্স না থাকায় আমরা সুখে আছি। রিকশাচালক সুরেন্দনাথ বৈদ্য বলেন, সরকার আমাদের চলাচল করতে দেওয়ায় বেশ ভালো আছি। সুত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close