নেপাল-তিব্বত হিমালয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিধসের আশঙ্কা
শেরপুর ডেস্ক: নেপাল, তিব্বত, চিনের হিমালয়ে ঘন ঘন ভয়ঙ্কর ভূমিধস হতে পারে বিশাল এলাকা জুড়ে। সেটা সবচেয়ে বেশি হবে চীন-নেপাল সীমান্তে। যার ফলে, ওই এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা অন্তত ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে যাবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশ্ন রিসার্চ’ (এনসিপিওআর)-এর অধিকর্তা, আন্তর্জাতিক হিমবাহ বিশেষজ্ঞ এম রবিচন্দ্রন জানান, বেশি তাপমাত্রায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বিশাল বিশাল হিমবাহ দ্রুত গলে যেতে শুরু করবে। তাতে ভেসে যাবে এলাকার হিমবাহের হ্রদগুলি। ভয়াবহ প্লাবনে হারিয়ে যেতে পারে হিমালয়ের এ এলাকাগুলির যাবতীয় জনপদ।
তিনি জানিয়েছেন, উষ্ণায়নের জন্য নেপাল, তিব্বত ও চিন হিমালয়ের জলবায়ু কীভাবে দ্রুত বদলাচ্ছে, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়েছে। গবেষণা থেকে নেপাল, তিব্বত হিমালয়ের ভয়াবহ ভবিষ্যতের অশনি সংকেত মিলেছে।
রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, দ্রুত উষ্ণায়নের দরুন নেপাল, তিব্বত ও চিনের হিমালয়ে বর্ষার মৌসুম বদলে গেছে। ইদানীং ওই সব এলাকায় যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে। আর যখনই হোক, তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় রোজকার তুমুল বৃষ্টির জন্যই নেপাল, তিব্বত ও চিন হিমালয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা ৭ দিনের তুমুল বৃষ্টিতে গড়ে যতটা জল জমে ওই সব এলাকায়, দেখা গিয়েছে, তাতেই ভূমিধসের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
‘এনসিপিওআর’-এর অধিকর্তার কথায়, ভূমিধসের ফলে, ওই এলাকার হিমালয়ের বড় বড় হিমবাহগুলি (গ্লেসিয়ার) নেমে আসবে কয়কেশো কিলোমিটার নীচে। যেখানে তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাতে হিমবাহগুলি দ্রুত গলে যাবে। তাতে প্লাবিত হবে হিমবাহগুলির হ্রদও (গ্লেসিয়াল লেক)। ভেসে যাবে এলাকার যাবতীয় জনপদ।
জুন থেকে সেপ্টেম্বরে, বর্ষার মৌসুমেসেই আশঙ্কাটা সবচেয়ে বেশি। তার ফলে, সংলগ্ন শহর, জনপদগুলি তো ভেসে যাবেই, ধ্বংস হয়ে যাবে পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি ও যোগাযোগব্যবস্থা। গত বছরের গ্রীষ্মে বন্যা ও ভূমিধসে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে ভূমি-হারা হয়েছিলেন ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।