দেশের খবর

ইউএনওদের মাধ্যমে রাজাকারদের তালিকা হচ্ছে

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে রাজাকারদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৮ আগস্ট জেলা প্রশাসকদের বরাবর রাজাকারের তালিকা সংগ্রহের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়। তার প্রেক্ষিতে ১২ জন জেলা প্রশাসক মাত্র ৩৯৯ জনের একটি আংশিক তালিকা প্রেরণ করেন। রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ নাম তালিকা সংগ্রহ করার জন্য যুদ্ধকালীন কমান্ডারসহ প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে রাজাকারের তালিকা সংগ্রহ করার নির্দেশ প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের বরাবর পুনরায় পত্র প্রেরণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভূক্তির দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। যার সর্বশেষ তারিখ ছিল ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর। অনলাইনে এবং সরাসরি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার আবেদন পাওয়া যায়।
মন্ত্রী জানান, এসব আবেদন উপজেলা/জেলা/ মহানগর পর্যায়ে ৪৭০টি কমিটি গঠন করে যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কমিটি থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ৮৫টি কমিটির মধ্যে থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। যাদের মধ্যে ৫৪টি মামলা এবং অবশিষ্টগুলো কমিটির সদস্যদের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের কারণে যাচাই-বাছাই শেষ হয়নি। এগুলো শেষ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরো যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ার পর কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে থাকলে তাঁর বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close