শেরপুরে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান চাউল ক্রয়ে ধীরগতি
“মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু”
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২ টি সরকারী খাদ্যগুদামে ধান চাউল ক্রয়ে ধীরগতির কারনে সময়মত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর ২০১৯ শেরপুরে ধান চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান চাল ক্রয় করা হবে।
শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সুত্রে জানাযায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রতিকেজি ৩৬ টাকা মূল্যে আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৯৯৩ মে:টন। সেখানে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার পর্যন্ত ২ হাজার ৯১৭ মে:টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আতপ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩১৫ মে:টন সেখানে ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে মাত্র ১১ মে:টন। অপরদিকে কৃষকদের নিকট থেকে প্রতিকেজি ২৬ টাকা মূল্যে সরাসরি আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৬২৭ মে:টন, সেখানে ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৩১৩ মে:টন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হতে আরও ২ হাজার ৩৮৪ মে:টন চাল সংগ্রহ বাকি রয়েছে অথচ সময় আছে মাত্র ৯ দিন।
চাল সংগ্রহের ধীরগতির কারন সর্ম্পকে জানতে চাইলে শেরপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আতিকুল ইসলাম জানান বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সরকারী খাদ্যগুদামে চাল দিতে কিছুটা গরিমসি করায় চাল সংগ্রহে বিলম্ব হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলাম জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে সপ্তাহ খানেক চাল ক্রয় বন্ধ রেখে কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি আমন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। যে কারনে চাল সংগ্রহে কিছুটা বিলম্ব হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এদিকে শেরপুর উপজেলা সেমি অটো রাইচ মিল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: সিরাজুল ইসলাম চাল সংগ্রহের নির্ধারিত সময় কিছুটা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন।