শেরপুরে সরকারী রাস্তার গাছ কাটায় বাধা দেয়ায় মারধর
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুরের ফুলবাড়ী এলাকায় ফুলবাড়ী-রনবীরবালা সরকারী রাস্তার গাছ কাটায় বাধা দেয়ায় মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় গত সোমবার রাতে শেরপুর থানায় পৃথক পৃথক ৪টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বিবাদী খলিলও উল্টো বাদি হয়ে সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বড় ফুলবাড়ী গ্রামের ফজর উদ্দিনের ছেলে খলিল গত রোববার দুপুরে ফুলবাড়ী-রনবীরবালা সরকারী রাস্তার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটছিল। এসময় একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সেলিম হোসেন গাছ কাটার ভিডিও ধারণ করলে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে। প্রাণ বাঁচাতে সেলিম দৌড়ে একই গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী রওশানারা বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে খলিল পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে রওশানার বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ঢুকতে না পেড়ে ঘরের বেড়ার টিন নষ্ট করে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এতে বাড়িওয়ালার প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হওয়ায় রওশানারা বাদি হয়ে বড় ফুলবাড়ি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে খলিল, তার স্ত্রী জোৎস্না, ছেলে জাকারিয়া ও ভাই খাদেমের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। প্রতিপক্ষদের রোষানল থেকে সেলিমকে উদ্ধার করতে গেলে একই গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে আবু তালেবকে মারধর করে। এতে সে আহত হয় এবং উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় পৃথক আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে সেলিম বাদি হয়ে খলিলের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে খলিল গত রোববার রাতে উল্টো সেলিম সহ চার জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকায় ভূমিদস্যু বলে পরিচিত খলিলের নামে পর পর ৪টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি। ব্যবস্থা গ্রহন না নেওয়ার কারনে দিন দিন তার সাহস বেড়েই চলছে। সে এলাকার কাউকে তোয়াক্কা না করে অপরাধ করেই চলছে।
এ ব্যাপারে গাড়ীদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান দবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি গাছ কাটার কথা শুনেছি যে খলিল গাছ কেটেছে এবং সেলিম বাঁধা দেওয়ায় খলিল তাকে মারপিট করে। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।