টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করল টাইগাররা
শেরপুর ডেস্ক: সিলেটের পারফরম্যান্সই মিরপুরে টেনে এনেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাইয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয় দিয়ে শুরু করল টাইগাররা।
সোমবার (৯ মার্চ) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দাপটই দেখিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। এরই মধ্যে লিটন-তামিম মিলে গড়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এরপর ফিফটি করেছেন সৌম্য সরকারও। দুই ফিফটিতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ২০১ বিশাল লক্ষ্য ছুরে দিয়েছে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ফলে ৪৮ রানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১১ রানের মাথায় ব্রেন্ডন টেইলরকে (১১) সৌম্যর ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন শফিউল ইসলাম। তারপর দলীয় ৩০ রানে ক্রেইগ আরভিনকে (৮) এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ের বিপদ বাড়িয়ে রান আউট হয়েছেন ওয়েসলি মাদেভেরে (৪)। নবম ওভারে পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। আউট হয়ে গিয়েছেন ওপেনার কামনুকাও (২৮) এবং অধিনায়ক শন উইলিয়ামস (২০)। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই বিদায় নিয়েছেন রাজা (১০)। তাঁকে ফিরিয়েছেন আফিফ হোসেন। পরে তিন নম্বর উইকেট তুলে নেন আমিনুল। এবার তার শিকার মুতামবুজি (২)। আর মুতামবামিকে (২০) ফেরালেন মোস্তাফিজুর।
শেষ দিকে ডোনাল্ড ত্রিপানো ঝড় তুললেউ সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১৩ বলে ২০ রান করে ডোনাল্ড আউট হলে দ্রুত গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
এদিন আগে ব্যাট করতে বাংলাদেশের স্কোর ৭৪ রান পেরোতেই ওপেনিং জুটিতে লিটন-তামিমের রেকর্ড হয়ে যায়। যদিও ৯২ রানের মাথায় মাধেভেরের বলে শন ইউলিয়ামসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল। তার আগে ৩৩ বলে খেলেছেন ৪১ রানের ইনিংস। তামিম ফিফটি না পেলেও লিটন সেটি হাতছাড়া করেননি। ৩১ বলে ফিফটি করা এই ওপেনার এরপর নিজের ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। লিটনকে ৫৯ রানেই থামিয়েছেন সিকান্দার রাজা এলবিডব্লু করে। ৩৯ বলে খেলা তাঁর এই ইনিংসে ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি আর তিনটি ছক্কা।
মুশফিকুর রহিম দারুন শুরু পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৮ বলে ১৭ রানে ফিরে গিয়েছেন তিনি। তবে ফিফটি তুলে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরকে ২০০ তে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন সৌম্য। তিনি শেষ অবধি অপরাজিত ছিলেন ৬২ রানে। মাত্র ৩২ বলে চার বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় তিনি এই রান করেন। ৯ বল খেলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার, মাদেভেরে ও এমপোফু।