আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিশানায় সম্রাট
শেরপুর ডেস্ক: জুয়া-ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের শুরুতে ক্যাসিনো গডফাদার ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হবে না বলেই তিনি মনে করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চাপে রাখতে অভিযানের শুরুর দিকে তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাকরাইলে মহানগর যুবলীগ দেিণর কার্যালয়ে অবস্থান করেন। কিন্তু অভিযানের গতি ক্রমেই বাড়তে থাকায় তিনি ঘাবড়ে যান। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পর সম্রাট গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগতে থাকেন। এখন গ্রেফতার এড়াতে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্রাট। তবে দুঃসংবাদ হল, একে একে তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন সবাই। অবস্থা বেগতিক দেখে এখন আর তার পাশে কেউ থাকতে চাইছেন না। ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত দলের প্রভাবশালী কোনো নেতাই তদবির করতে চান না। কেননা দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অভিযানের বিষয়ে রয়েছেন কঠোর অবস্থানে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনের এই অভিযান নিয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলছেন। এজন্য সম্রাটের পে তদবির করার ঝুঁকি নিতে কেউ সাহস পাচ্ছেন না। তবু এই সংকট উত্তরণে মরিয়া সম্রাট। কিন্তু দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়ায় তিনি কোনো চেষ্টায় যেন হালে পানি পাচ্ছেন না। আত্মগোপনে থাকা ঢাকা মহানগর যুবলীগ দেিণর সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিষয়ে এমন সব তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্রাটকে অধিকাংশ নেতা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ সম্রাটের পে থাকলেও প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। গোপনে হয়তো কোথাও তার পে তদবির করার চেষ্টা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোর দাবি অনুযায়ী, সম্রাট রাজধানীর অভিজাত এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার বাসায় এখনও অবস্থান করছেন। সেখানে থেকে তিনি নিজেকে রা করার সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে যে কোনো সময় তিনি অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট টিমের সার্বণিক শ্যেনদৃষ্টি তার গতিবিধির দিকে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সম্রাটের অবস্থানের বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সবুজ সংকেত পেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। অল্প কয়েকজন নেতার সঙ্গে নানা মাধ্যমে তিনি যোগাযোগ রাখছেন। এখন তার মূল ল্য হল, যে কোনো উপায়ে দেশত্যাগ করা। তবে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরে আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে। এজন্য বৈধপথে তিনি আর দেশ ছাড়তে পারছেন না।