শেরপুর হাসপাতালে ডাক্তার লিংকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুরে ব্যাক্তি মালিকানার পুকুর সংস্কার কাজে বাঁধা দিয়ে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদ করায় আব্দুল করিম (৫০) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হলে সোমবার দুপুরে তাকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাজিদ হাসান লিংকনের অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং অসুস্থ্য রোগীকে আটকে রেখে বানিজ্য করার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় স্বজনরা।
শেরপুর প্রেসকাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক জানান উপজেলা হাসপাতালে সোমবার দুপুর পৌনে ২ টায় গিয়ে দেখতে পান হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা তার চেয়ারে নেই। ডাক্তার লিংকন জরুরী বিভাগের চেয়ারে বসে ওই সকল রোগীর লোকদের হাত উচিয়ে নানা রকম হুমকী-ধামকি সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, শেরপুর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নানা অনিয়মে ভরা। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জোর পূর্বক নেয়া হয় পাশের ১৫ টির অধিক প্রাইভেট কিনিকে। এরপর সেখানে চলে অসংখ্য রোগ নির্ণয়ের নামে পরীক্ষা-নীরিক্ষা। অদক্ষ নার্স আয়াদের চিকিৎসায় রোগীদের পকেট কেঁটে আদায় করা হয় হাজার হাজার টাকা কমিশন বানিজ্য। শেরপুর হাসপাতালের স্টাফ অনেকেই বলেন, ডাক্তার লিংকন সরকারি চাকরী করলেও এলাকার বেশ কয়েকটি কিনিক ব্যবসায় সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে নন্দীগ্রাম উপজেলায়। প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় যাবত তিনি শেরপুরে হাজারো অনিয়মের সাথে জড়িত। তিনি সংগঠনের নামে সুবিধা ভোগ করে শেরপুরে অসহায় রোগীদের নিয়ে বানিজ্য করে চলেছেন। এব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতামত জানতে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিয়াকত আলী শেখের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না তবে সরকারী হাসপাতালে রোগীদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করা হয়ে থাকলে তা ঠিক হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।