শেরপুরে পুকুর সংস্কার কাজে বাঁধা দিয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগ,এক কৃষককে পিটিয়ে জখম
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুরে ব্যাক্তি মালিকানার পুকুর সংস্কার কাজে বাঁধা দিয়ে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদ করায় আব্দুল করিম(৫০) নামের এক কৃষককে মাথায় পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেরপুর উপজেলার কুসুন্বি ইউনিয়নের কেল্লা গ্রামের মৃত. বুদা কাজীর চার পুত্র আব্দুল করিম, আব্দুর রহিম, হেলাল উদ্দিন ও বেলাল উদ্দিনের পৈত্রিক একটি পুরাতন পুকুর পুনঃসংস্কার কাজ শুরু হয় এক সপ্তাহ আগে থেকে। এরপর পুুকরের তলার মাটি ট্রাক যোগে নেয়ার পথে বাঁধা প্রদান করেন একই গ্রামের আতাউর রহমান(৪৫) মহসীন আলম(৪০) এবং সোহেল রানা(৪২) । এর মাঝে উভয় পক্ষের মাঝে সমঝোতার নামে ৬০ হাজার টাকা নগদে চাঁদা নেয় তারা। ২৩ মার্চ সোমবার সকাল ১০ টায় পুকুরের মাটি বোঝাই ট্রাক রাস্তায় আটকে দিয়ে আবারও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন ওই সকল সন্ত্রাসীরা। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় কৃষক আব্দুল করিম।
ওই ঘটনার সময় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুল করিমকে রাম দা,লাঠিফালা ও দেশীয় অস্ত্রদিয়ে মাথায় পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে আতাউর, মহসীন ও সোহেল। তখন ওই ঘটনা স্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন আব্দুল করিম। এরপর সকাল ১১ টায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় আব্দুল করিমকে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাজিদ হাসান লিংকন মাথায় গুরুত্বর আহত আব্দুল কমিরকে সেখানে প্রায় ১ ঘন্টা যাবত আটকে রেখে পাশের একটি কিনিকে ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেন। রোগীর লোকজন ডাক্তারের পরামর্শে সম্মত না হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে শেরপুর হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকেন অসুস্থ আব্দুল করিম। এসময় রোগীর লোকজন ডাক্তারকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেও তার মন গলাতে পারেনি। শেরপুর থানা এএসআই মিলন জানান, আহত আব্দুল করিমকে মারপিট করার খবরে কেল্লা গ্রামের ওইখানে গিয়ে আসামীদের পাওয়া যায়নি। তাদেরকে পাওয়া গেলে আটক করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি মটর সাইকেল ও রামদা সহ ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোডা উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে গুরুত্বর আহত আব্দুল করিমকে সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।