এর আগে যে সব সময়ে কাবা শরীফ বন্ধ হয়েছে
শেরপুর ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি রূপ নেয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পবিত্র কাবা শরীফ ও মসজিদে নববীও। তবে কাবা শরীফ বন্ধের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে প্রায় ৪০ বার বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে এমনটি করা হয়েছে। তেমনই কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো। ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে ৮৬৫ সালে কাবা শরীফ বন্ধ করা হয়। ইসমাইল ইবনে ইউসুফ নামের এক উন্মাদ হজ্জ্বে এসে হাজারের উপর মানুষকে হত্যা করেছিল। সেই সময়ে কাবা অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়।
কাবায় তাওয়াফ বন্ধ হয় ৯৩০ সালে। কারমাতিয়া নামের এক্সট্রিমিস্ট শিয়া গ্রূপ ছিল, যারা ঘোষণা দিয়েছিল যে কাবার চারদিকে তাওয়াফ করা জাহেলী আরবদের প্রথা, তাই ওরা কাবা ধ্বংস করতে আসে। লড়াই হয়, এবং ওরা কাবার সামনের কালো পাথরটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ২২ বছর সেটা ওদের দখলে ছিল, এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ওরা ওটাকে ঘিরেই পূজা শুরু করে দিল। পরে এটিকে উদ্ধার করা হয়, এবং তারপর থেকে আবারও কাবার সামনে প্রতিস্থাপন করা হয়। আবারও কাবায় তাওয়াফ বন্ধ হয়েছিল ১২৫৮ সালে। মঙ্গলরা তখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম। বাগদাদে দুই মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করে ফোরাত নদীর পানির রঙ পাল্টে ফেলেছিল। ইসলামের খলিফাকে হত্যা করে তারা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কারোর সাহস হয়নি বাড়ির বাইরে এক কদমও ফেলার। তাই ওমরাহ এবং হজ্ব সেই বছরের জন্য বাতিল করা হয়।
১৮১৪ সালে প্লেগ ছড়িয়ে পরে এবং আরব অঞ্চলেই আট হাজারের উপর মানুষ মারা যান। সেই সময়ে কাবার তাওয়াফ বন্ধ করা হয়। ১৮৩১ ইন্ডিয়া থেকে কিছু হাজি, ওমরাহকারী এক ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে আসেন, যার ফলে কাবায় উপস্থিত এক তৃতীয়াংশ মানুষ সেই রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান। আবারও কাবা বন্ধ করতে হয়।
১৮৯২ কলেরা ছড়িয়ে পরে। ১৯৭৯ সালে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এইভাবে ১৯৮৭ সর্বশেষ ম্যানেনজিসাইটিস আউটব্রেক ঘটে, এবং কাবা বন্ধ করা হয়। এছাড়াও কাবা গৃহে অগ্নিকাণ্ডের ফলেও কাবা তাওয়াফ বন্ধ ছিল।