অবশেষে সেই বৃদ্ধার বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছালেন ইউএনও লিটন সরকার
নওগাঁ প্রতিনিধি: “ইউয়োনো স্যার মেলা মানুষোক দ্যাচে; হামাক কোন দিন দিবে?” শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন প্রোটাল এ স্থানীয় সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ এর লেখা একটি স্বচিত্র রিপোর্ট শনিবার প্রচারের পর- ইউএনওর দৃষ্টিগোচর হলে অবশেষে সেই বৃদ্ধার বাড়িতে রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় সরকারি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন নওগাঁর পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিটন সরকার। পতœীতলার ইউএনও মো: লিটন সরকার ইতিপুর্বে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভ’মি) হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়ীত্ব পালন করেছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই যখন ঘরে, তখন শ্রমহীন মানুষদের পাশে সরকারের পাশাপশি বিভিন্ন সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক সংগঠনের পে ত্রাণ অনেকের ঘরে পৌঁছালেও নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার গাহন গ্রামের নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া বেগমের (৭০) কাছে এখনো পোঁছেনি কোন আর্থিক সাহায্য কিংবা ত্রাণ সামগ্রী। পান না কোন প্রকার সরকারি ভাতা! এমতাবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। এতে খেয়ে-না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। তিনি উপজেলার মৃত রহিম উদ্দীন অরফে ধলুর স্ত্রী ও পাটিচরা ইউনিয়নের গাহন গ্রামের চকপাড়ার বাসিন্দা।
জানা যায়, মাস সাত আগে তার স্বামী মারা যান। তিনি নিঃসন্তান! বাঁশের বেড়া আর টিনের ছাউনির একটি ঘরে বসবাস। স্বামী বেঁচে থাকতে বয়স্ক ভাতার টাকা তুলে সংসারের কাজে আসতো আর্থিক উপকার। কিন্তু, বর্তমানে অচলাবস্থায় দিন কাটছে।রোকেয়া বেগম বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর এক দিন পর ইউপি মেম্বার স্বামীর ভাতার কার্ড নিয়ে গেলেন আর বল্লেন, তোমার নামে কার্ড দেওয়া হবে। কিছু দিন পর দুই হাজার টাকা দিয়ে গেল। কিন্তু, আর কোন খবর নাই। আমি বয়সের ভারে অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারি না। এখন আমার কি হবে? ঘরে টাকা-পয়সাও নাই-চালও নাই।” রোকেয়া বেগম কাঁদতে-কাঁদতে চোখের পানি মুছতে-মুছতে করুণ সুরে আরো জানান, “ইউয়োনো স্যার মেলা মানুষোক দ্যাচে; হামাক কোন দিন দিবে? আল্লাহ্ জানে।”