সম্রাটের আটক নিয়ে ধোঁয়াশা!
শেরপুর ডেস্ক: দশ দিন আগে থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তাকে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ বলেও কোনো কোনো গণমাধ্যমে বিশেষায়িত করা হচ্ছে। তিনি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে চলছে কানাঘুষা। এই ধারা চলছে যুবলীগের দুই নেতা খালেদ মাহমুদ চৌধুরী ও জি কে শামীম গ্রেপ্তারের পর থেকে। অভিযানের শুরুর দিন থেকে শত শত নেতাকর্মী বেষ্টিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দণি যুবলীগের সভাপতি সম্রাট।
রবিবার একটি দৈনিকে সম্রাট গ্রেপ্তার হয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়। যদিও আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দাদের কেউ এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। অন্যদিকে সম্রাটের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও স্পষ্ট কিছু বলেননি। রবিবার সম্রাটের আটকের সত্যতা জানতে চাইলে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দেখবেন, আপনারা খুব শিগগিরই দেখবেন। সম্রাট হোক যেই হোক অপরাধ করলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব। আমি এটা এখনো বলছি, সম্রাট বলে কথা না যে কেউ আইনের আওতায় আসবে। আপনারা সময় হলেই দেখবেন।’ এই বক্তব্যের পর ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। অনেকে বলছেন, স¤্রাটের আটক করা হয়েছে বলেই হয়তো মন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। অন্যদিকে গণমাধ্যমের খবর বলছে, গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আছেন সম্রাট। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গ্রীণ সিগনাল পেলে তাকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করা হবে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে ক্যাসিনো তথা জুয়ার আসরের সঙ্গে স¤্রাট জড়িত। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ বলেও অভিহিত করেছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ আছে।