করোনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেরপুর ডেস্ক: করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়েছে এবং বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এমন এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাস্ক ও পিপিই বানায় এমন গার্মেন্টস ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া, ছোট অপরাধের দায়ে যারা দীর্ঘদিন জেল খাটছেন এবং হত্যা, ধর্ষণ ও অ্যাসিড মামলার আসামি নয় এমন বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে নীতিমালা করতে বলেছেন তিনি। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, দীর্ঘদিনের বন্দি আসামিদের মুক্তি দিতে একটি প্রক্রিয়া ঠিক করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানে আক্রান্ত বেশি, সেখানে লকডাউন করা হচ্ছে।
বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে আরও কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা জনগণের প্রতি বারবার অনুরোধ জানিয়েছে, করোনা একটু বেড়েছে। জনগণের পরিপূর্ণ সহায়তা ছাড়া এটা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। সবাইকে বারবার মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বা কোয়ারেন্টিন যেখানে যেটি প্রযোজ্য আপনারা নিজ দায়িত্বে বাস্তবায়ন করবেন। আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী ও প্রশাসন আরেকটু সতর্ক এবং কঠোরভাবে আইসোলেশন বাস্তবায়নে পদপে নেবে। সেই সঙ্গে গ্রাম এলাকাতে ব্যাপক প্রচারও চালাবে যেন মানুষ আরও বেশি সতর্ক হয়। নিজেকে যদি নিজেরা আমরা রা না করি তা হলে আমাদের পে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ দুরূহ হবে। আমাদের চিকিৎসকরা অনুরোধ জানাচ্ছেন- আমরা চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বাইরে আছি, আপনারা অনুগ্রহ করে একটু ভেতরে থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পহেলা বৈশাখের বাইরের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে, যা করার ডিজিটালি করবেন। আর মুসল্লিদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে মসজিদের আঙ্গিনার বাইরে থেকে কেউ নামাজ পড়তে যাবেন না। মক্কা-মদিনাতেও যারা শুধু তাদের কর্মী রয়েছেন তাদের নিয়ে তারা জামাত পড়ছেন। আমাদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদ আঙ্গিনার মধ্যে রয়েছেন, আর পাশে হয়তো দুই-একজন আছেন তারা হয়তো আসতে পারেন। আমরা যদি এটিতে গুরুত্ব না দেই তা হলে কন্ট্রোল করা যাবে না। বিশেষ করে লাইলাতুল বরাতের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলে দিয়েছে এটি সম্পূর্ণ নফল এবং একাকী ইবাদত। এটি কোনো জামাত বা দলবদ্ধ ইবাদত নয়। তাই এটি খেয়াল রাখতে হবে এবং বিশেষ করে আল্লাহর কাছে মা চাইব যেন আমরা কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত থাকতে পারি।