মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শুরু
“মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু”
বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শনিবার থেকে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শুরু হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন।
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শনিবার হবে প্রথম রোজা।
এদিকে শুক্রবার রাতের এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ শুরু হবে। তবে মসজিদে ১২ জনের বেশি তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন না। পবিত্র রমজান মাসে এশা ও তারাবির নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম ও দুইজন হাফেজ সহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বাকিদের ঘরে বসে আদায় করতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে আদায় করার নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রমজানের আগমনে সাড়া পড়ে যায় আসমান ও জমিনে। আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায় গোটা সৃষ্টিজগতে! কল্যাণের সব দরজা এ মাসে খুলে দেওয়া হয়। আর অকল্যাণের পথ রুদ্ধ করা হয়। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন রমজানের প্রথম রাত আগমন করে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলিত করা হয়, জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা রাখা হয় না কোনো দরজা। আর জান্নাতের দুয়ারগুলো অর্গলমুক্ত করে দেওয়া হয়। বদ্ধ রাখা হয় না কোনো তোরণ। এদিকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, ‘হে পুণ্যের অনুগামী, অগ্রসর হও। হে মন্দ পথযাত্রী থেমে যাও।’ আবার অনেক ব্যক্তিকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর এমনটি করা হয় রমজানের প্রতি রাতেই।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৬৮২; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪২)
রমজানকে স্বাগত জানানোর সর্বোত্তম উপায় হলো—রমজানকে সব গুনাহ থেকে মুক্ত রাখার দৃপ্ত শপথ করা। কেননা রমজান তাওবার সুবর্ণ সময়। রমজানকে স্বাগত জানাতে হবে ইবাদতে দ্বিগুণ চেষ্টা, দান-সদকা, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-ইস্তেগফার এবং অন্য নেক আমল বেশি পরিমাণে করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে বেশি বেশি নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।