করলা ও উচ্ছের গুণ
ডা. আলমগীর মতি: করলা বা উচ্ছেতে যেমন ক্যালরি কম, তেমনি এতে রয়েছে প্রচুর নিউট্রিয়েন্টস। তাই নিয়মিত করলার রস বা সিদ্ধ খেলে ভিটামিন ১, ২, ৩, সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার শরীরে জমা হবে। করলা থেকে আরও পাওয়া যায় আয়রন, বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, যা শরীর মজবুত করতে সাহায্য করে। এবার জেনে নেওয়া যাক, করলার উপকারিতাÑ
রক্তের সমস্যার সমাধান করে। অনেক সময় দূষিত পদার্থ রক্তে জমে গায়ে চুলকানি দেখা দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। দুআউন্স করলার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে টানা ৩ থেকে ৪ মাস খেলে এসব সমস্যা কমে যাবে।
ক্যানসারকোষ নষ্ট হয়। করলার রসে রয়েছে এক ধরনের এনজাইম, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ক্যানসারকোষ ধ্বংস করে এবং নতুন করে এ কোষ তৈরি হতে দেয় না। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে কলেরা ধরা পড়লে দু-চা চামচ করলাপাতার রসে সঙ্গে সমপরিমাণ সাদা পেঁয়াজের রস ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে। কলেরা নিয়ন্ত্রণে আসবে। সুগার কমায়।
করলার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ইনসুলিন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এটির নাম হাইপোগ্লাইসেমিক কম্পাউন্ড। এই বিশেষ উপাদানের সাহায্যে করলা ইনসুলিনের মাত্রা না বাড়িয়ে ইউরিন ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, গাঁটের ব্যথা দূর করে, পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া সোরিয়াসিস দূর করে। উচ্ছে নানা ধরনের চর্মরোগ দূর করে। ফুসফুসও ভালো রাখে। প্রতিদিন খালিপেটে উচ্ছেরসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু ও পানি মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে। লেখক : বিশিষ্ট হারবাল গবেষক