‘করোনা থেকেও ভয়ংকর তুই’ মুশফিককে তামিম
আজকের শেরপুর ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঘরবন্দী জীবন কাটছে সবার। ঘরবন্দী সময়টাকে উপভোগ্য করে তুলতে অনেকেই অনেক কিছু করছেন। যেমন ধরা যায় বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের কথা। ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে আড্ডা দিচ্ছেন ভক্তদের সঙ্গে, জানাচ্ছেন নানা অজানা তথ্য। শুধু তিনি একা নন তার এই ব্যতিক্রম আড্ডার আয়োজনে প্রথম দিন হাজির ছিলেন বন্ধু মুশফিকুর রহীম।
শনিবার রাতে সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পূর্বঘোষিত লাইভে আসেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম। জাতীয় দলের অন্যতম এ দুই তারকা তাদের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে মেতে ওঠেন আড্ডায়। আলোচনা করেন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন সময় নিয়ে। আজ রোববার রাতে লাইভে আসার কথা রয়েছে মুশফিকের ভায়রা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
কী হয়েছে এই লাইভ আড্ডায়? আসলে বলতে হবে কী হয়নি এখানে। জাতীয় দলের এই দুইজন তারকা ক্রিকেটার ব্যক্তিগত জীবনে ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। দুজন যেন ফিরে গেছেন ছেলেবেলায়। তারকাসুলভ ব্যবহার না করে চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছেন দুজনে। লাইভের এক পর্যায়ে তামিম মুশফিককে জিজ্ঞেস করেন, ‘আচ্ছা তুই করোনা নিয়ে ভিডিও বার্তা দেওয়ার সময় চেহারা এমন করে রাখিস কেনো? এ সময় তোকে করোনার চেয়ে ভয়ংকর লাগে। মনে হয় কে না কে মারা গেছে।’
হাসতে হাসতে ভেঙে পড়া মুশফিকের উত্তর, ‘না না, ভয় লাগার না। আমার আসলে। আমি চাই নরমালি কথা বলতে, কিন্তু মানুষ যে ফিল। মানে আমি তো আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আমার ফ্যামিলিরও সবাই আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছে। বাট যারা আসলে অসুস্থ বা অনেকেই মারা গেছে। আসলে তাদের কথা চিন্তা করলে ভেতর থেকে কেমন জানি ওই রকম একটা ভয় ভয় আমার ভেতরে চলে আসে।’
মুশফিক আরও জানান, ভিডিও করার পর যখন পুনরায় দেখেন তখন তার কাছে মনে হয় কেউ কিছু না বললেও এটা নিয়ে তামিম খোঁচা দেবে। এই আড্ডায় দুজনের ঝগড়ার একটি বিষয়ও উঠে আসে। সেটি হয়েছিল ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ড্রেসিংরুমে চেয়ারে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাগ করে মুশফিক ব্যাগ-পত্র নিয়ে চলে যান শাওয়ার রুমে। পরে ওখানে বসেই ছিলেন বাকি সময়। এই ম্যাচে তামিম সেঞ্চুরি ও মুশফিক ৭৯ রান করেন।
মজার যে তথ্য দিলেন তামিম ইকবাল তা হলো, এই স্টেডিয়ামে যখন মুশফিক আবার খেলতে আসেন তখন তিনি শাওয়ার রুমেই বসেছিলেন। কেননা আগের ম্যাচে এখানে বসার কারণেই ৭৯ রান করেছিলেন। এই আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে অনেক ভালো কথাও হয়েছে। যেমন নিলাম থেকে মুশফিকের ব্যাট কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন তামিম। মুশফিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন যে ব্যাট দিয়ে, সেই ব্যাটটি নিলামে তোলা হবে করোনাদুর্গতদের জন্য।
মুশফিক তার ব্যাটটি কেনার জন্য বলেন তামিমকে আহ্বান করেন। বন্ধুকে নিরাশ করেননি তামিম। বলেন, ‘আমারও নজর থাকবে, আমিও আশা করি যত বেশি দামে বিক্রি হবে ততই ভালো। বিশ্বাস কর আমি এটা বলতেও চেয়েছি, আমার সামর্থ্যের মধ্যে যদি থাকে অবশ্যই বিড করবো, দেখা যাক।’